কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জমিতে একই সময় দুই ফসল উত্পাদনে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। মূল ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল চাষে সফলতা পাওয়ায় এ পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে বগুড়ার শাজাহানপুরের কৃষকদের। দেশে বছরে আদার চাহিদা ২ লাখ ১৯ হাজার টন। এর মধ্যে দেশে উত্পাদন হয় ১ লাখ ৯ হাজার টন আদা। চাহিদার বাকি আদা আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। তাই কৃষি বিভাগ আদা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আদা চাষের সঙ্গে একই জমিতে নিয়ম করে পেঁপে চাষ করে সফলতা আসায় এ পদ্ধতিতে ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন জেলার কৃষকরা।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকরা পেঁপের সাথি ফসল হিসেবে চাষ করেন স্থানীয় বারী-১ জাতের আদা। আদার ফলন পাওয়ার আগেই একাধিকবার পাওয়া যাচ্চে পেঁপের ফলন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মসলা গবেষণা কেন্দ্রের কারিগরি সহযোগিতায় আদা চাষে কৃষকরা সফলতা পেয়েছেন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শাজাহানপুর উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মসলাজাতীয় ফলস চাষ হয়। এ বছর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে পেঁপে ও ১০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। উপজেলার অনেক কৃষক আদা চাষ করে সফল হয়েছেন। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় চাষীদের সাথি ফসল চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। অনেকেই আবার মাঠ থেকে জেনে অফিসে আসছেন সাথি ফসল চাষের পদ্ধতি জানতে।
কৃষকরা একই সময়ে একই জমি থেকে দুটি ফসল পাচ্ছেন। তাই জমিতে আলাদা করে সার বা পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। বগুড়ার শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সাথি ফসল চাষ লাভজনক চাষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কৃষকরা একই সময়ে একই জমি থেকে দুটি ফসল পেয়ে থাকেন। তবে সব ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল চাষ করা যায় না। কিছু ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। বেগুনের ক্ষেতে মরিচ বা শাক চাষ করা যায়। পটলের ক্ষেতেও আবার হাইব্রিড বা উন্নত জাতের মরিচ, পেঁপে চাষ করা যায়।
কৃপ্র/এম ইসলাম