কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ক্ষেতে নতুন করে ব্লাস্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে যেসব ক্ষেতের ধান ভালো ছিল, সেগুলোর ফলন নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ ব্লাস্ট আক্রান্ত ক্ষেতে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য বললেও, এসব ক্ষেতে উত্পাদন বহুলাংশেই কমে গেছে বলে দাবি কৃষকের। জানা যায়, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ক্ষেত পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতির শিকার হয়। এ অবস্থায় নতুন করে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণে ধান মাড়াই করতে গিয়ে কৃষকরা অর্ধেকের কম ধান পাচ্ছেন। ফলে চলতি মৌসুমে এ দুই উপজেলার বোরো আবাদে ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা ইউনিয়নের এক কৃষক সুজিত রায় বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগে আমরা বিপর্যস্ত। কিছু ধানক্ষেত ভালো থাকলেও সেখানে নতুন করে ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। এতে আশঙ্কাজনকভাবে ফলন কমে গেছে।’ ধোবাউড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশেই এ রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছেন না।’
হালুয়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্লাস্ট রোগে ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ উপজেলার গোবড়াকুড়া গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টি, উজানের ঢল, এখন ব্লাস্ট। এ অবস্থায় কতটা ধান পাব জানি না।’ তবে ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত দুই উপজেলায় মাত্র ২১২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এতে ফলন কিছুটা কম হলেও এর প্রভাব পড়বে না।’
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম