কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারে ২০ হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। তবে জেলার আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এ কারণে কক্সবাজারের ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া দেড় লক্ষাধিক মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বাড়িঘর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরে থাকা সাতটি ট্রলারের ২১ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পৃথক ঘটনায় ২০ জন আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে জেলার অসংখ্য ঘরবাড়ি; উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ঘুর্নিঝড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সোমবার রাত ৯ টা থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে মোরা আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর ৫টার পর থেকে সেন্টমার্টিন লন্ডভন্ড হতে শুরু করে। ৬টা নাগাদ সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাঁচা ঘর, আধাপাকা ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ ঘরের চাল উড়ে গেছে। এ ছাড়া বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এ ছাড়াও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এ সময় উপকূলের কোথাও জলোচ্ছ্বাসের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং, বাহারছড়া এবং সর্বশেষ সকালে কক্সবাজার শহর হয়ে আরো উত্তরে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও চকরিয়া-পেকুয়া উপকূলে ঝড়োহাওয়া বয়ে যায়। সেন্টমার্টিন কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম