কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন, দুইটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্টি পানিতে ভেসে গেছে পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত ইউনিয়নের পুকুরের মাছ। এদিকে ঝড়ো হওয়ায় বিদ্যুৎ তারের উপর গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার খাল-ছরাগুলো সংস্কার না থাকা ও অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় পানি নিস্কাশন সুবিধা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থাপন করা স্লুইচ গেটগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় জলাবদ্ধা সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক গ্রামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি পানি চলাচলের জায়গায় পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ওই ইউনিয়নের নন্দিপুর, সরকারতালুক, ছত্তরুয়া, দক্ষিণ অলিনগর প্লাবিত হয়েছে।ডুবে গেছে করেরহাট বাজার। সড়ক দিয়ে যান চলাচল করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুরে বাওয়াছড়ায় একটি ব্রিজ নির্মাণে বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর কারণে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকায় স্থায়ী জলবাদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড় এবং বারইয়াহাট পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শুধুমাত্র অপরিকল্পিতভাবে বহুতল বাড়ি এবং মার্কেট নির্মাণের ফলে মানুষ পানি বন্দি রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার বলেন, বজ্রপাত ও ঝড়ো বৃষ্টিতে গাছের ঢালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ তারের উপর পড়াতে অধিকাংশ এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। ইতোমধ্যে উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১’শ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতা অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলের পানিতে পলি মাটি থাকায় তা কৃষি জমির জন্য সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/ এম ইসলাম