কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নীলফামারী জেলার তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১২৭ কিলোমিটার সেচ খালের পানিতে নীলফামারীসহ রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় শুরু হয়েছে মাছ চাষ। এ মাছ চাষ সফল করতে সোমবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোড ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিভাগীয় পর্যায়ের এক যৌথ সভা সেচ প্রকল্পটির ডালিয়াস্থ অবসরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূখ্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম, মৎস্য দপ্তরের রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিক উদ্দিন বিশ্বাস, সহকারী পরিচালক অদৈত্য চন্দ্র দাস, তিস্তা সেচ প্রকল্পের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জোহা, রংপুর পানি উন্নয়ন বোডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তার দপ্তরের সম্প্রসারণ উপদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ইকবাল, দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ ইমাম জাফর সাদেক, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারি, জলঢাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিনারা হাফিজ ফেরদৌস, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আন্না রাণী দাস প্রমুখ।
মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিক উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন তিস্তা সেচ প্রকল্পের ১২৭ কিলোমিটার সেচ খালে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে গত বছর থেকে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। ওই খালে সেচ প্রদানের পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে মাছ চাষ করার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোড ও মৎস বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উভয় পক্ষের সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূখ্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘সেচ এবং মাছ চাষ একসাথে চলার লক্ষ্যে আমরা বিদ্যমান সমস্যা সমূহ চিিহ্নত করে সভায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, আমাদের মাছেরও দরকার, সেচের জন্য পানিও দরকার, কিভাবে সমন্বয় করলে ভালো হবে, সেই পরিকল্পনার জন্যই এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সেচ খালে মাছ চাষের লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সমঝোতা অনুযায়ী তিন হাজার ৩৪৭ সুবিধাভোগী পরিবার নির্বাচন করে সেচ খালের পানিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মৎস বিভাগ। এর আওতায় রয়েছে নীলফামারী জেলা সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা এবং রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম