কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঝাঁপা বাওড়ের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও মৎস্য লুটকারীদের শাস্তির দাবীতে সড়ক অবরোধ করেছে বাওড় এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ অবরোধে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা যায়, যশোর মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড়ের ইজারার ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে প্রায় ষাট লাখ টাকা প্রদান করে ১৮ মে চুক্তি সম্পাদন করে সরকার পক্ষ। এর পরপরই সমিতির পক্ষ থেকে প্রায় ষাট লাখের অধিক টাকার মাছ অবমুক্ত করা হয়। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি আপীল বোর্ড ২৩ মে ওই চুক্তি আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
বাওড়ের মাছ লুটপাট বন্ধ এবং প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মৎস্যজীবীরা। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোকাররাম হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অবরোধ উঠিয়ে নিলে মৎস্যজীবী সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে এক বৈঠকে সোমবার সকাল ১১ টায় স্থানীয়ভাবে এক সমাবেশে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন কর্মকর্তারা।
অবরোধকারীদের অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক এক আমলার দুই ভাই তাদের বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে বাওড় হতে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদেরকে দেশ ছাড়ার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলেও মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন দফতরে একাধিক অভিযোগ করেন।
সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস জানান, সরকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নামে ইজারা দেওয়ার পরও স্থগিতাদেশ এনে আমাদের ছেড়ে দেওয়া মাছ প্রকাশ্যে লুটপাট করে নেওয়া হচ্ছে। আমরা উক্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ অতুল মণ্ডল জানান, স্থগিতাদেশ হওয়ার পর বাওড় খাস হয়েছে বলে একটি মহল গুজব তুলে মাছ লুটের চেষ্টা চালাচ্ছে। আশাকরি সোমবার সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারবো।
সুত্র, ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম