কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সোমবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তিনটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। অপর একটি জাহাজ ডোবার উপক্রম হয়েছে।প্রচণ্ড সামুদ্রিক ঢেউ এবং ঝড়ো বাতাস জাহাজগুলোকে কুমিরা জেলেপাড়া বরাবর উপকূলের কাছে নিয়ে আসলে পাথর ও চরের মাটির ধাক্কায় তলা ফেটে ও জাহাজের সাইড ভেঙে এই ঘটনা ঘটে।
লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী নিম্নচাপের ফলে সাগর উত্তাল হয়ে ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতার মুখে এই ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটার মধ্যেই উপকূলের কাছে ৩টি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজগুলো হচ্ছে এমভি অলিম্পিক-২, এমভি শমিক ও এমভি হাজী কায়েস। এ তিনটির মধ্যে অলিম্পিক ও কায়েস ডুবেছে সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে। শমিক-এ কোনো ধরণের পণ্য ছিল না। ঝড় ও ঢেউ প্রচণ্ড ধাক্কায় জাহাজগুলোকে কুমিরার দিকে নিয়ে যায়। শত চেষ্টা করেও সেগুলো কর্ণফুলী চ্যানেলে ঢুকতে পারেনি।
এদিকে এমভি মার্কেন্টাইল-৭ নামের আরো একটি জাহাজ ঢাকা থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে আসার সময় বাতাস ও ঢেউয়ের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপকূলের কাছে চলে আসে বলে জানা যায়। এটির তলদেশও স্থলভাগে লেগে ফেটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর সূত্রগুলো কোনো কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সৈয়দ শাহাদাত হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস আঘাত হানলে জাহাজগুলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপকূলে চলে যায়। মাটি ও পাথরের ধাক্কায় তলদেশ ফেটে নিমজ্জনের ঘটনা ঘটে।তিনি জানান, নিমজ্জিত অলিম্পিক-১ জাহাজটি ১৪শ’ টন ক্লিংকার ছিল। কায়েসে থাকা ক্লিংকারের পরিমাণ জানা যায়নি। ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছে।
সুত্র, ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম