কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতা, শসা ও মুখিকচু চাষে বেশ সফল ও লাভবান। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও সারবিহীনভাবে উৎপাদন করায় একদিকে যেমন এসব সবজির চাহিদা বেশি তেমনি অসময় এসব সবজি বাজারে মেলায় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বেড পদ্ধতিতে চাষকৃত এসব সবজির ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। আলী হোসেন ২০১৬ সালে বিষমুক্ত (নিরাপদ) সবজি উৎপাদনে জাতীয়পর্যায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। রমজান উপলক্ষে তিনি পরিকল্পনামাপিক গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতা, শসা ও মুখিকচু চাষ করেছেন। রমজান শুরুর আগের দিন থেকে তিনি এসব সবজি বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
আলী হোসেন এক বিঘা জমিতে বেড পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে কাঁচা মরিচ ও বেগুন চাষ করেছেন। বর্তমান প্রতি কেজি ধনেপাতা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে এক বিঘা জমির ধনেপাতা বিক্রি হবে ২ লাখ টাকা। এতে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। দুই বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন মুখিকচুর সঙ্গে সাথী ফসল আছে পেঁপে। বাজারে প্রতি কেজি মুখিকচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা।
দুই বিঘা জমির এই কচু বিক্রি হবে দেড় লাখ টাকা। আইরেট জাতের এই কচুচাষে আলী হোসেনের খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা । তিনি তিন বিঘা জমিতে শসাচাষ করেছেন। এর সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন কলা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। সে হিসেবে তিন বিঘা জমির শসা বিক্রি হবে লাখ টাকার ওপরে। শসা চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তার ২ বিঘা পটল ও ৪ বিঘা কলার চাষ রয়েছে। তিনি অধিকাংশ চাষে কেঁচো কম্পোস্টের জৈব সার, সেক্স ফেরেমন ফাঁদ, বৌদ্দ মিক্সার, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন তার এই কাজের উদ্দীপনা জোগান বলে জানান। চলতি মৌসুমে দেশীয় পদ্ধতিতে সাড়ে ১৩০০ মণ আলুও সংরক্ষণ করেছেন তিনি।
কৃপ্র/এম ইসলাম