কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।। দূর থেকে দেখতে ঘনবদ্ধ এ ফুল অনেকটা মালার মতো। উদাহরণ হিসেবে মণিমালার (মিলেশিয়া) কথা বলা যেতে পারে। এ ফুলের গড়নও অনেকটা এরকম। সাদা ও গোলাপি রঙের দু’রকম ফুল যদি একসঙ্গে থাকে তাহলে সৌন্দর্যের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। অনন্তলতা আমাদের রীতিবদ্ধ বাগানে খুব একটা চোখে পড়ে না। পতিত জায়গায় কিংবা ঝোপঝাড়ে অনায়াসে বেড়ে উঠতে পারে। অনেকেই বাগানের শোভা বৃদ্ধির জন্য এ ফুলের আর্চ তৈরি করেন। আবার কোনো কোনো বাগানের প্রবেশপথেও এর নান্দনিক বিন্যাস চোখে পড়ে।
লতানো স্বভাবের হওয়ায় বাহন পেলেই যে কোনো কিছু আঁঁকড়ে অনেক দূর অবধি উঠতে পারে। প্রস্ফুটন প্রাচুর্য দীর্ঘস্থায়ী এবং সব ধরনের বাগানের জন্যই এ গাছ আদর্শ। তাছাড়া বিশেষ উদ্যানশৈলীর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন নকশায় এগাছ উপস্থাপন করা যায়।
অনন্তলতার (Antigonon leptopus) আদি আবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা। আমাদের দেশে এর সহজ বিন্যাস দেখে মনেই হয় না যে গাছটি এখানকার নয়। গ্রামেও গাছটি মোটামুটি সহজলভ্য। গাছ লতানো, শিকড় ও কাণ্ড কোনাচে ধরনের, কিছুটা খাঁজকাটা।
পাতা তাম্বুলাকৃতির, অমসৃণ। ৪ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কিনারা ঢেউ খেলানো, বিন্যাস একান্তর, শিরা সুস্পষ্ট, আকর্ষী ও কাক্ষিক। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম গ্রীষ্মকাল। তবে রেশ থাকে বর্ষা-শরত্ অবধি। অন্যান্য দেশে এর প্রকারভেদ থাকলেও আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ও গাঢ়-লাল রঙের ফুল দেখা যায়। গোলাপি রঙের ফুলের বৃত্যংশ চারটি ও রঙিন। মূল বা দাবাকলমের মাধ্যমেই বংশবৃদ্ধি করা হয়।
তথ্য সুত্র, ইত্তেফাক/ লেখক, মোকারম হোসেন/ কৃপ্র/এম ইসলাম