কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কম সময়ে বেশি মুনাফা হওয়ায় টার্কি পালনে উৎসাহী হচ্ছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার অনেকেই। ব্রয়লার বা লেয়ার পালন থেকে টার্কিতে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে বয়লার বা লেয়ার মুরগি খামার বাদ দিয়ে ঝুঁকছে টার্কি পালনে। এরই মধ্যে টার্কি পালনে বেশ সফলতা পেয়েছেন অনেক খামারী। এতে যেমন বাড়ছে কর্মসংস্থান, তেমনি সমৃদ্ধি হচ্ছে এই উপজেলার অর্থনীতি।
ছয় মাস আগে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা গ্রামের সোহরাব মেম্বার মাত্র ৪০টি টার্কি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন। যা বেড়ে এখন ৩৫০টি। এর মধ্যে নিয়মিত ৫০টি টার্কি ডিম দিচ্ছে। প্রতিটি মুরগি ওজন হয়েছে ৮ থেকে ১০ কেজি । প্রতিটি টার্কির বাজার মূল্য ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সোহরাব মেম্বারের এ সাফল্য দেখে অনেকেই উৎসাহী হচ্ছেন টার্কি খামার তৈরিতে। প্রতিদিনই জেলা ও জেলার বাইরে থেকে অনেকেই আসছেন তার এই খামার দেখতে।
সোহরাব মেম্বার জানান, টার্কি মুরগি পালনে ফিড খাদ্য একেবারেই কম লাগে। টার্কি মুরগি কাঁচা সবজি, ফুলকপি, পাতা কপি, ডাটাসহ বিভিন্ন সবজি বেশি খেয়ে থাকে। যে কারণে খরচ খুবই কম। রোগ-বালাই কম হওয়ায় টার্কি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। এক কথায় এই ব্যবসায় সফলতা আছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমান সময়ে টার্কি পালন লাভজনক ব্যবসা। উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে টার্কি খামারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম