কৃষকদের দ্রুত পাকা ধান কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ভারতের আসাম ও মেঘালয়সহ সীমান্ত এএলাকাগুলোতে ২৯ এপ্রিল থেকে টানা ৫দিন বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে সেই দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্ষণের ফলে বাংলাদেশের সিলেট,হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলার হাওরে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। হবিগঞ্জের হাওরগুলোর সাথে ওই এলাকার হাওরের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরের নিম্ন এলাকার পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত পাকা ধান কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এলএম সৌকত জানান, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হবে। যেহেতু ওই এলাকাগুলো বাংলাদেশ থেকে উঁচু স্থানে অবস্থিত তাই পানিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন নদী দিয়ে হাওরে প্রবেশ করবে। এতে করে নিম্ন এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়বে। তাই কৃষকদেরকে দ্রুত ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পাকা ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৭৪ হেক্টর জমি। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এক লাখ ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি চাষ করা হয়েছে। বোরো চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটা সাফল্যের। এ পর্যন্ত হাওর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওর এলাকার ৫০ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে। কৃষকদেরকে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারণ ভারতে বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
সুত্র, বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম