কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
রংপুর তিস্তা ব্যারাজ সেচপ্রকল্প এলাকাসহ রংপুর কৃষি অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাম্প্রতিক কালের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি সত্ত্বেও বাম্পার উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে রংপুর কৃষি বিভাগ। জানা গেছে রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৮০ ভাগ ধান কৃষক কাটা-মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছেন। বাকি ২০ ভাগ ধান আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া ডিভিশনের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী জানান, এবার শুষ্ক মৌসুমে উজানের পানি কম পাওয়ার পরেও চলতি রোরো ধান আবাদের সময় তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়। সেচ কমান্ড এলাকার কৃষকরা গড়ে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ মণ করে ধান ঘরে তুলছে।
রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার রংপুর কৃষি অঞ্চলে ৫ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ লাখ ২ হাজার ৫২৯ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে উৎপাদন হয়েছে নীলফামারীতে ৮২ হাজার ১১০ হেক্টর, রংপুরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ লাখ ৯ হাজার ৬১২ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ১০ হাজার ৫০২ হেক্টর ও লালমনিরহাটে ৫০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলনে চালের উৎপাদন হবে ২০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন।
সম্প্রতি নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৯ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান বিনষ্ট হয়। কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খাদ্য উৎপাদনে জাতীয়ভাবে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম