কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত ও বেসরকারি উদ্যোগের গুটি ইউরিয়া কারখানাগুলো। এখানকার ৩৩টি ভর্তুকির মেশিনের মধ্যে অধিকাংশই এখন বন্ধ। কৃষকরা বলছেন এ ইউরিয়া সার প্রয়োগে তাদের শ্রমিক খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।কৃষকরা বলছেন এ অঞ্চলে গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ যন্ত্র কেউই ব্যবহার করেন না। এমনকি এ যন্ত্র সম্পর্কে ধারণাও নেই অনেকের। যন্ত্রটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও কৃষি বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে সচেতন করা হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় গুটি ইউরিয়া সার বানানোর জন্য সরকারি ভর্তুকির মেশিন দেয়া হয়েছিল সাতটি। এর প্রায় সবগুলো মেশিন এখন পড়ে রয়েছে। আলমডাঙ্গায় রয়েছে ১২টি মেশিন। এর মধ্যে চালু আছে তিনটি, সাময়িক চালু ছয়টি এবং অচল রয়েছে তিনটি। দামুড়হুদা উপজেলায় মেশিন রয়েছে নয়টি। জীবননগর উপজেলায় রয়েছে ছয়টি মেশিন।
ব্যক্তি উদ্যোগের গুটি ইউরিয়া তৈরির মেশিনগুলোও লাগাতার লোকসান দিচ্ছে। জীবননগরের মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোসাবুল হক মোল্লা বলেন, তিনি ২০১২ সাল থেকে গুটি ইউরিয়া তৈরি করে আসছেন। কিন্তু এখন আর মেশিন চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আগে এ সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা হতো। এখন এসব বন্ধ। নিজ উদ্যোগে পোস্টারিং লিফলেট বিতরণ করেও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে কারখানাই বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাঈম আস সাকীব বলেন, বেশ কিছুদিন আগে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার বন্ধ করে গুঁড়ো ইউরিয়া ব্যবহারে ফিরে গেছেন। তাছাড়া এ সার প্রয়োগে খরচ একটু বেশি পড়ছে। এ প্রকল্প আবার চালু হয়ে গেলে কৃষকরা আগের মতোই আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তিনি।
কৃপ্র/এম ইসলাম