মোঃ আরিফুর রহমান ।।
বিশ্বব্যাপী বহুল সমাদৃত লাল তেলাপিয়া মাছ বাংলাদেশে সীমিত আকারে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ মাছ নিয়ে জেনেটিক গবেষণা শেষ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। গবেষণায় পোনা উৎপাদন শতভাগ সফল হয়েছে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, দেশে প্রচলিত তেলাপিয়া মাছের মতোই এই মাছ চাষ করা সম্ভব। উন্নত বিশ্বে লাল তেলাপিয়া ব্যপক পরিচিত ও সমাদৃত। অন্যান্য দেশে এ মাছের চাহিদা থাকায় রফতানিরও সুযোগ রয়েছে।
ড. ইয়াহিয়া বলেন, আমরা এরইমধ্যে আমাদের এ গবেষণাটি মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা নোয়াখালির বেশ কয়েকটি খামারীকে পোনা দিয়েছে। ময়মনসিংহেও এর চাষ চলছে। আমরা চাই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে।
লাল তেলাপিয়া স্বাদু ও লোনা পানিতে চাষ করা যায়, অধিক উৎপাদনশীল, গায়ের রং লাল হওয়ার কারণে ক্রেতা ভোক্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যে কোনো অগভীর পুকুর, ডোবা বা পতিত জলাশয়, খাঁচায় ও সিমেন্টের ট্যাকেংও এটি চাষাবাদ করা সম্ভব, ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই এটি বিক্রয়যোগ্য, অল্প পুজি ও রোগাক্রান্ত না হওয়ায় একই জায়গায় অনেক মাছ চাষ করা সম্ভব। একক বা মিশ্র পদ্ধতিতে এ মাছ চাষ লাভজনক।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অনেক অঞ্চল এখন লবণ পানিতে নিমজ্জিত। ফসলের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে সরকার ও বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, কীভাবে লবণ পানি প্রবেশকৃত এলাকাগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। লবণ পানি আটকে থাকা এলাকাগুলোতে মাছটি চাষ করা যেতে পারে। লাল তেলাপিয়া চাষের একটি সুবিধা হলো স্বাদু পানির পাশাপাশি সামান্য লবণ (৩-১০ পিপিটি) পানিতেও মাছটি চাষ করা।
লাল তেলাপিয়া মাছের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভালো। ফলে ওষুধসহ অন্যান্য খরচ সাশ্রয় হবে। ৪-৫ মাস বয়সে এর গড় ওজন হয় প্রায় ৪০০ গ্রাম। এ মাছ প্রায় সব ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে। পুকুরে মাছটি এককভাবে চাষ করলে বেশি লাভ পাওয়া যাবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম