কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
আষাঢ়ের বর্ষণ ইলিশের ভরা মৌসুম। তাই ইলিশ শিকারে নদী-সাগরে যাওয়ার জন্য জেলার প্রায় ৪ লাখ জেলে জাল বুনন, ট্রলার মেরামত ও পুরাতন জাল রিপু করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম জানান, আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময় থেকে এবছর ইলিশ ধরা শুরু হতে পারে। বর্তমানে নদীতে খুব একটা ইলিশ নেই। তাই এ সময়টাকে সামনে রেখে জেলার ৭ উপজেলার প্রায় ৮ হাজারের বেশি নৌকা-ট্রলার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর গতবার ব্যাপক ইলিশ পাওয়ায় এবার উৎফুল্ল চিত্তে রয়েছে সাধারন জেলেরা।
ভোলার মেঘনা পাড়ের জেলেদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। কেউ পুরানো জালকে নতুন করে রিপু করছে। কেউ বা নতুন জাল বুনতে ব্যস্ত। আবার কেউ নৌকা-ট্রলার মেরামত করছে। কেউ নৌ-যানের নিচের অংশে পুডিং ও আলকাতরা লাগাচ্ছেন। সব মিলিয়ে একটা কাজের সময় বিরাজ করছে পল্লীগুলোতে। শিশু থেকে শুরু করে কেউ বসে নেই।
মেঘনা পাড়ের নাছীরমাঝি এলাকার জেলে রাসেদ মাঝি, কালাম মাঝি, সাইদ আলী ও রহমান বেপারী বলেন, গত বছর নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এবার এনজিওর কাছ থেকে প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছেন। এ টাকায় নতুন জাল ও ট্রলার মেরামত করছেন তারা। আশা করছেন প্রচুর ইলিশ ধরার মাধ্যমে লাভবান হবেন তারা।
গত বেশ কয়েকবছর ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিলেন কাদের আলী ও রমজান মাঝি। উপার্জনের অধিকাংশ অর্থ চলে যেত দেনা পরিশোধে। কিন্তু গতবার প্রচুর ইলিশ জালে আটকা পড়ায় দেনা কমে এসেছে। এখন অনেকটাই চাপমুক্ত তারা। আশা করছেন এবারের ইলিশ বেঁচে বাকি দেনা মিটিয়ে দেবেন।
কোরার হাটের জেলে আমিন মাঝি, মাইনুদ্দিন ও জসিমউদ্দিন মাঝি বলেন, বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে ইলিশ মাছের চাপ আসা শুরু করবে। তখন ট্রলার নিয়ে উত্তাল মেঘনার মাঝে জাল তোলা হয়। বিশেষ করে সামনের আমাবশ্যার ঘাতালে প্রচুর ইলিশ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, মার্চ ও এপ্রিল ২ মাস অভায়শ্রমে কঠোরভাবে পালিত হয়েছে ইলিশসহ সব ধরেনের মৎস্য রক্ষা কার্যক্রম। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে এবছর আশা করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম