কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
সংসদে ‘সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, পরিবহন ও বিক্রিকে ‘অপরাধ হিসেবে গণ্য করে’ এর সাজা বাড়িয়ে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাস হয়েছে।
রোববার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ‘সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ১০ জুলাই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ২০০৬ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য বিলটি পাস করা হয়েছে।
বিলে নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন বা বিক্রি করলে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সার ব্যবস্থাপনা আইন-২০০৬ অনুযায়ী এসব অপরাধের জন্য ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো রায়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ৩০ দিনের মধ্যে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ তা ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। মিথ্যা মামলা করলে বা কেউ মিথ্য মামলায় বাধ্য করালে উভয়ে একই সাজা পাবেন।
২০০৬ সালের আইনের ‘মিশ্র সার’ এর সংজ্ঞাকে প্রস্তাবিত আইনে ‘মিশ্র সুষম সার’ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটির সদস্য সংখ্যা দুইজন থেকে বাড়িয়ে ১৭ জন করা হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম