কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
মেহেরপুর জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাদ্রাজি ওলচাষ বাড়ছে। একটা সময় পতিত ও বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে মাদ্রাজি ওলের চাষ হতো। এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাদ্রাজি ওলচাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে প্রতিবছর এ মাদ্রাজি ওল চাল সম্প্রসারিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন জানান, তিনি কয়েকবছর ধরে মাদ্রাজি ওল চাষ করছেন। গতবছরও দেড় বিঘা জমিতে মাদ্রাজি জাতের ওল চাষ করে এক লাখ টাকা ঘরে তুলেছেন। এ বছর চার বিঘা জমিতে ওল চাষ করেছেন। সে আশা করছে ৩ লাখ টাকার বেচা-কেনা হবে।
সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের ওল চাষি ফয়েজ উদ্দীন জানান, ওল বিক্রির পাশাপাশি শুধু বীজ বিক্রি করেই তিনি ২৫ হাজার টাকা আয় করেছে। প্রতিমণ বীজ এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার বেচা কেনা হয়।
সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ওলচাষি মোস্তফা মোস্ত জানান, তিনি পারিবারিক চাহিদা মেটাতে ওলচাষ করেন বছর পাচেক আগে। সুস্বাদু ও চাহিদার কারণে তিনি এ বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ১০ কাটা জমিতে আবাদ করেছেন। তিনি আগামীবছর আরো দুইবিঘা জমিতে চাষ করবেন বলে আশা করছেন।
রাজনগর গ্রামের মাদ্রাজি ওল ব্যবসায়ী আবু হোসেন জানান- তিনি জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ওলকিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করেন। এ ওলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
গত কয়েক বছর ধরে মেহেরপুর জেলায় চাষ হচ্ছে মাদ্রাজি ওল। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি গাছে ৭-১৫ কেজি পর্যন্ত ওলের ফলন পাচ্ছে চাষিরা। এছাড়া বাজারে চাহিদার পাশাপশি দামও ভালো। বাজারে এ ওল প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ আবাদে বেশি লাভ হওয়ায় জেলায় দিন দিন বাড়ছে এ জাতের ওল চাষ। কৃষি বিভাগের হিসেবে এবছর জেলায় ৩শ হেক্টর জমিতে ওল চাষ হয়েছে। এ ওলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা বীজ বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ করছে।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান জানান, এ জাতের ওল চাষ চাষিদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে চাহিদার পাশাপাশি দামও ভাল। চাষিদের এ আগ্রহটাকে আরো বেগবান করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামীতে এ জাতের ওল চাষ আরো বাড়বে।
কৃপ্র/এম ইসলাম