কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বগুড়া জেলার ধুনটে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ধুনট পয়েন্টে যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকার গ্রাম ও চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তথ্য সুত্র, দৈনিক বনিক বার্তা।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত সোমবার বিকাল থেকে যমুনা নদীতে পানি কমেনি। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে যমুনা নদীতে আবারো পানি বৃদ্ধি পায়। ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপত্সীমার ১৬.৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর অভ্যন্তরের গ্রাম ও চরের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। তিনি জানান, গতকাল ভোর থেকে নদী তীরবর্তী গ্রামের বসতবাড়িতে হাঁটু পানি দেখা গেছে। পানিবন্দি বৈশাখী চর, রাধানগর চর ও নদীতীরের সহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ী, কৈয়াগাড়ী, বানিয়াজান ও ভাণ্ডারবাড়ী গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
বগুড়ার ধুনট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান বলেন, এরই মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করলে উঁচু স্থানে পাঠদানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত বগুড়ায় পানি বেড়ে বিপত্সীমার ১৬.৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। শুরুতে যেভাবে পানি বেড়েছে, বর্তমানে গতি কমেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করছেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম