কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের বরুলিয়া গ্রামসহ গ্রামের বাসিন্দাদের ১৫০০ বিঘারও বেশি ফসলি জমি। এছাড়া ভাঙনের কবলে পড়েছে একই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি। তথ্যসুত্র, jagonews24.com
ভাঙন দেখা দিয়েছে কিত্তিনগর, গোসাইডাঙ্গা, ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা, ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, উলুবাড়িয়া ও মাজদিয়াতে। হুমকিতে রয়েছে লাঙ্গলবাধ বাজার ও আদিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ।
ভাঙন কবলিত ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, গড়াই নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তার স্বজনদের ৬০ বিঘাসহ গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। বাকিটাও চলে যাওয়ার উপক্রম।
৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, এরই মধ্যে বরুলিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে কৃষ্ণনগর গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি। এছাড়া ভাঙন দেখা দিয়েছে কিত্তিনগর ও গোসাইডাঙ্গা গ্রামে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হবে অধিকাংশ ফসলি জমি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শৈলকুপা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ৬নং সারুটিয়া, ৭নং হাকিমপুর ও ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে গড়াই নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা তারা পরিদর্শন করেছেন। নদী শাসন করে এ অঞ্চল বাঁচাতে তাদের কর্ম পরিকল্পনা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলেই তারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেবেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম