কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
জয়পুরহাট জেলার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বসতবাড়ির প্রতিটি স্থানের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি ও ফলসহ নানা ফসল চাষে কৃষাণ-কৃষাণীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য বুধবার সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চান্দা গ্রামে কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ‘সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট (আইএফএমসি)-কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় খরিপ-২/২০১৮-১৯ মৌসুমে সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চান্দা গ্রামে একটি বাড়ি একটি খামারে পরিণত করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে বসতবাড়ির প্রতিটি স্থানের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন, উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন কৌশল, উন্নত পদ্ধতিতে হাস-মুরগী পালন, গরুপালন, কৃষক সংগঠন ও মাছ চাষ বিষয়ে ২৫ পরিবারের ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণীকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কৃষক মাঠ স্কুলের আইএফএম বুথ, উচ্চমূল্যের ফসল বুথ, বসতবাড়ির বাগান বুথ, হাঁস-মুরগীপালন বুথ, গরুপালন বুথ, মাছ চাষ ও কৃষক সংগঠন বুথসমূহে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উপস্থাপনা পরিদর্শন শেষে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেরাজুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার অমল চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছা. মিশু আকতার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফেরদৌস আলম।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম বলেন, আইএফএম কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষাণ ও কৃষাণীরা নিরাপদ বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনসহ উন্নত পদ্ধতিতে গরু, ছাগল, মুরগি পালন ও মাছ চাষ, প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মাফিক পুষ্টি উপাদান উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারবেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝে পুরষ্কার এবং প্রতিটি পরিবারের কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝে সনদপত্র ও উপকরণ সহায়তা ভাতা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষক সহায়তাকারী, উপ-সহকারী কৃষি অফিসারসহ ওই এলাকার ২৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসুত্র- বাসস/কৃপ্র/এম ইসলাম