কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খুলনার দাকোপ উপজেলায় বিপুল পরিমাণ তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সম্ভাব্য ক্ষতির কথা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন অনেকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দাকোপ অন্যতম। কয়েক দশক ধরে এখানে তরমুজ একটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ১০০ কোটি টাকার তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, মাঘ-ফাল্গুন হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের সময়। তবে হাইব্রিড জাতের বীজ ফাল্গুন মাসজুড়েই বপন করা যায়। দাকোপে এবার দুই হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৮০০ হেক্টর। দাকোপের নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৭০০ হেক্টরের তরমুজ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তরমুজ চারা একেবারে কচি হওয়ার কারণে পানি সেচ দেয়ার পরও বাঁচানো যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন কৃষকরা।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, কেবল ৮০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০ হেক্টরই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। তবে এখন ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। তারপরও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তরমুজের পাশাপাশি কৃষকদের তিল ও ভুট্টা লাগানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, গত বছর শুধু দাকোপেই উৎপাদিত তরমুজের বাজারমূল্য ছিল ১০০ কোটি টাকা। এবার এ উপজেলায় তরমুজ চাষ দুই হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
তথ্যসুত্র- দৈনিক বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম