কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
গত কয়েক বছর ধরে মালি, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্টসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে তুলা উৎপাদনে বড় ধরনের সাফল্যের দেখা মিলেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার কল্যাণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকায় তুলার বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। খবর লুসাকা টাইমস।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে তুলা উৎপাদন ও রফতানিতে সবচেয়ে এগিয়ে বেনিন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ২০১৮ সালে তুলা রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
মালি আফ্রিকার দ্বিতীয় শীর্ষ তুলা রফতানিকারক দেশ। পণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় দেশটি ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে সবচেয়ে বেশি তুলা রফতানি হয়েছে।
তুলনামূলক উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে বেনিন, মালি, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্টসহ পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় বাড়তি তুলা উৎপাদন হচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে তুলা রফতানি আগের তুলনায় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তুলা রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় ১২তম অবস্থানে রয়েছে ক্যামেরুন। বিদায়ী বছরে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলা রফতানি ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ বেলে। আগের বছরে দেশটি থেকে মোট চার লাখ বেল তুলা রফতানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন থেকে তুলা রফতানি বেড়েছে এক লাখ টন।
উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদান। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার বেল তুলা রফতানির মধ্য দিয়ে দেশটি পণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ১৬তম অবস্থানে। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাষ্ট্র জাম্বিয়া। তুলা রফতানিতে দেশটির অবস্থান বিশ্বে ২২তম।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কৃষি অর্থনীতিবিদ জেনি হারিগান বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশে দেশে খাদ্যশস্যের পাশাপাশি কোকো ও তুলার মতো রফতানিমুখী কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় আবহাওয়া অনুকূল থাকায় তুলা উৎপাদন আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম