কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক: অসময়ে তরমুজ চাষ করে দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাট জেলার কৃষকরা। মাধাইনগর ও ধলাহার এলাকায় ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ মাচায় দুলছে। এরমধ্যে ইয়েলোবার্ড জাতের তরমুজ খুব জনপ্রিয়।
তরমুজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অসময়ে তরমুজ চাষ করে দাম ভালো পাওয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন। ধলাহার গ্রামের তরমুজ চাষি আতিকুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মাচায় তরমুজ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৩০ শতাংশ জমিতে ও একই এলাকার চাষি নবির উদ্দিন ৩৩ শতাংশ জমিতে মে মাসের ১৬ তারিখে তরমুজের চারা রোপণ করেন। তরমুজের জালি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য পলি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তিন মাসের ফসল হিসেবে এসব তরমুজ চাষ করে খরচ বাদে বিঘা প্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকছে বলে জানান কৃষকরা। বর্তমানে বাজারে কলো রংয়ের তরমুজ ৪০ টাকা ও হলুদ রংয়ের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। অসময়ে তরমুজ চাষ করে দাম ভালো পাওয়ার কথা জানান, তরমুজ চাষি আতিকুল, শহিদুল ও নবির উদ্দিন। অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’। স্থানীয় ভাবে চাষ হওয়া ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক জাতের তরমুজ সু-স্বাদু হওয়ায় চাহিদা কিছুটা বেশি তাই দামও তুলনা মুলক বেশি পাওয়া যাচ্ছে। মৌসুমী তরমুজ গুলো অন্য জেলা বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসে। ওই তরমুজ শেষ হওয়ার পরেই স্থানীয় ভাবে এ তরমুজ বাজার আসে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম. মেফতাহুল বারি জানান, জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে একশত বিঘার বেশি জমিতে এবার মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। অসময়ে তরমুজ চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় তরমুজ চাষিরা বলেও জানান তিনি।
সুত্র: বাসস / কৃষি প্রতিক্ষন/ এম ইসলাম