কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ বগুড়ার জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে বিষমুক্ত আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
আগাম জাতের শীতকালীন বিষমুক্ত নতুন সবজি এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আগাম জাতের শীতকালীন সবজির দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবার উপজেলায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। আগাম জাতের শীতকালীন এসব সবজির মাঝে রয়েছে ফুলকপি, মুলা, লাউ, বরবটি, টমেটো, সিম, বাঁধাকপি, লালশাক ইত্যাদি।
উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজির বাজার মহাস্থান কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি নতুন শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, নতুন ফুল কপি ছোট ১পিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাল শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
দেউলী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন আমি ৪০ শতক জমিতে ফুল কপির চারা রোপন করেছি আশা করছি আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রতি পিচ কপি বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রয় করব।
রহবল গ্রামের কৃষক জেলাল রহমান বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে পটল চাষ করেছি। এ পর্যন্ত ১৮০ মণ পটল বিক্রি করেছি। বর্তমানে পটল কম উঠলেও বাজার ভালো। প্রতি মণ ১১শ থেকে ১৩শ টাকা দরে বিক্রয় করেছি।
মোকামতলা ইউনিয়নের পার আঁচলাই গ্রামের কৃষক মোঃ মাহাবুল আকন্দ বলেন, আমি ১০ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি বাজারে বিক্রি শুরু করেছি ভালো দাম পাচ্ছি।
দেউলী ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন,বিষমুক্ত আগাম সবজি চাষে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করে আসছি আমরা। কৃষকদের আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন- ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে নিরাপদ উপায়ে উচ্চমূল্য সবজি চাষে কৃষদের উদ্বুদ্ধ করছি আমরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মুজাহিদ সরকার বলেন, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় বর্তমানে আগাম রবি সবজির অবস্থা বেশ ভাল এবং ফলন ও ভাল হবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি চাষে বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ করছি।
কৃষি প্রতিক্ষণ/ এম ইসলাম