কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দক্ষিণ এশিয়ার ৫০ শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যার জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি। কিন্তু আগামী দিনে কৃষির সবচেয়ে বড় হুমকি এখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এই অঞ্চলে চলতি শতাব্দীর শেষে, ১০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসলের উৎপাদন কমে যেতে পারে।
যা বিপুলসংখ্যক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়াকে অনিশ্চিত করে তুলবে। যে কারণে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন কৌশলগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে গত বুধবার অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সমস্যার সমাধানে নেওয়া একটি অংশীদারত্ব প্রকল্পের কথা জানানো হয়। বক্তারা জানান, দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে একযোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যা দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি ও খাদ্যসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। টেকসই কৃষির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প। যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের আধুনিক কৌশল এবং প্রযুক্তির সমন্বয় করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করার গবেষণাভিত্তিক কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ), সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টার (এসএসি), ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) এবং সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এসডিএফ) একসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের আধুনিক কৌশল আরও বেশি বেগবান করতে অংশীদারত্ব প্রকল্প চালু করেছে।
সভায় সার্কের মহাসচিব এসালারদায়ান উইরাকুন বলেন, এই প্রথম এ ধরনের আঞ্চলিক প্রকল্পটি সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভেতরে এমন এক সময়ে চালু করা হয়েছে, যখন জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি ল্যান্ডস্কেপের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো শনাক্ত করা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশল এবং প্রযুক্তিকে মূল ধারায় আনতে হবে। প্রকল্পটি পাইলটিংয়ের জন্য বিশেষ ফোকাসসহ সার্ক সদস্য দেশগুলোতে নারী কৃষকদের পাশাপাশি গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী এবং নীতি নির্ধারকদের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দেওয়াই এ প্রকল্পের লক্ষ্য থাকবে।’
সুত্রঃ প্রথম আলো অনলাইনের / এম ইসলাম