কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রথম বারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার আমির হোসেন । চলতি মৌসুমে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। এসব তরমুজ চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ আছে তার খামারে। কেবল শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিন বার এই তরমুজ চাষ করা যায় বলে জানান চাষি আমির হোসেন।
নিজের ২৪ শতক জমিতে প্রথম বারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন কৃষক আমির হোসেন, দুই মাসের মাথায় তিনি তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন।
প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০-৯০ টাকা দরে তিনি বিক্রি করেন। এক একটি তরমুজের ওজন দুই থেকে পাঁচ কেজি। এসব তরমুজ চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ ও চরফ্যাশনের সদর রোড এলাকার ফলের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।
তরমুজচাষি আমির হোসেন বলেন, আগে আমি সবজি চাষ করতাম। বাজারে বিদেশি জাতের ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখে এই তরমুজ চাষে আমার আগ্রহ বাড়ে। পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় এই তরমুজ চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। আগামী বছর ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ তিন গুণ বাড়ানোর কথা জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, তার এই সফলতা দেখে বাড়ির আশপাশের অনেক মানুষ বেবি তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি তরমুজচাষি আমির হোসেনের বেবি তরমুজখেত পরিদর্শন করেছি। তরমুজের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কৃষি সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এই তরমুজ বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। (এফডিএ) এর সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করছি, চরফ্যাশন উপজেলায় এ তরমুজ অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ এম ইসলাম