কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
নতুন জাতের ‘লাউ বেগুন’ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ও বৃষ্টি দম্পতি। মাঝারি আকারের লাউয়ের মতো বারি-১২ জাতের বেগুন ।
নওগাঁ কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, বারি-১২ জাতের ‘লাউ বেগুনের এক একটির ওজন এক থেকে দেড় কেজি। প্রতিটি গাছে অন্তত ৭ থেকে ৮ কেজি বেগুন ধরেছে। অন্য জাতের বেগুনের চেয়ে এ বেগুনের ফলন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় বাজারে দামও বেশি। এ বেগুনের রোগ-বালাই কম। সেচও দিতে হয় কম। এর ভর্তা যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভাজিসহ ও অন্যান্য তরকারিতে স্বাদও অতুলনীয়। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এর চারা লাগানো হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে এর ফলন পাওয়া যায়।
নওগাঁ সদর উপজেলার রকিফুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ শুরু করলেও সফল হতে পারেন নি। তার স্ত্রী বৃষ্টি বানু বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’র সদস্য তিনি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)- এর সহায়তায় ২০২৪ সালে মৌসুমী থেকে ‘বারি-১২’ জাতের বেগুন চাষের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে মৌসুমী থেকে তাদের ৬০০টি বেগুনের চারা দেয়া হয়। রফিকুল-বৃষ্টি দম্পতি তাদের নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে এই ৬০০ টি লাউ বেগুনের চারা রোপন করেন। এখন সেসব গাছে প্রচুর বেগুন ধরেছে।
রকিফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে নওগাঁ হাটে দেড় মন বেগুন নিয়ে গিয়েছিলাম। হাটে নিয়ে যাওয়ার পর সবাই জানতে চাইছে, ‘এটি লাউ না বেগুন?’ অন্য বেগুন যেখানে ৫০০ টাকা মন আর সেখানে আমি ১৬০০ টাকা মন দরে বিক্রি করেছি। সরেজমিনে ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আশেপাশের গ্রাম থেকে বেগুন ক্ষেত দেখতে লোকজন ভিড় করছেন।
কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, পিকেএসএফ এর আর্থিক সহায়তায় মৌসুমি থেকে রফিকুল দম্পতিকে এসব লাউ বেগুনের চারা দেয়া হয়েছে। তারা সফল হয়েছে। তাদের উৎপাদন ও বেশ ভালো হয়েছে। যা জেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নতুন জাতের এই বেগুন প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৭ টন হয়।
এম ইসলাম