কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : সবজি চাষের ক্ষেত্রে কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমন ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন চাষিরা ।দেশের কৃষকরা যেটাকে যাদুর ফাঁদ, বলে চেনেন । এই ফাঁদের ব্যবহার বৃদ্ধির কারনে উপকৃত হচ্ছে চাষি ও ভোক্তারা ।সবজির সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল মাছি পোকা। এই মাছি পোকার আক্রমণে মাঠের পর মাঠ সবজি নষ্ট হয়ে থাকে। কীটনাশক প্রয়োগের পরও এই পোকা দমন করা যায় না। তখন আর কৃষকের করার কিছু থাকে না। আবার কীটনাশক প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট দিন পর্যন্তু অপেক্ষা করতে হয় বাজারে বিক্রি করার জন্য। কিন্তু এটি শুধু হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষিত কৃষকই জানেন এ কথা। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক অশিক্ষিত। তারা জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করার পরই পোকা মারা গেলে মাঠ থেকে সবজি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে। আর এই বিষাক্ত সবজি খেয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের শিকার হয়।
গত কয়েক বছর ধরে যশোর ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের জমিতে খুবই কম কীটনাশক ব্যবহার করছে। তারা কীটনাশকের পরিবর্তে এখন সেক্স ফেরোমন বা জাদুর ফাঁদ বলে চেনে। দু’পাশে ত্রিভুজাকৃতির ফাঁকযুক্ত পাস্টিকের বৈয়ামের ভেতর বিশেষ কৌশলে আটকানো একটি তাবিজের মত জিনিস। এর ভেতরে থাকে পুরুষ মাছি পোকাকে আকৃষ্ট করার জন্য এক ধরনের গন্ধ। নিচে এক দেড় ইঞ্চি পরিমাণ ক্ষারযুক্ত পানি। গন্ধে মাছি ছুটে আসে এবং ক্ষার পানিতে পরে মারা যায়। এই জাদুর ফাঁদ যশোর অঞ্চল ও তার আশপাশের অধিকাংশ সবজি চাষিরা ব্যবহার করছেন। এতে তারা উপকৃত হচ্ছেন।
খরচ কম হওয়ায় একদিকে যেমন তাদের বেঁচে যাচ্ছে টাকা-পয়সা অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ ও রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারছেন তারা। এইসব অঞ্চলের কৃষকদের নানাভাবে উৎসাহ যোগাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তারা কৃষকদের সংগঠিত করে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরছেন। পাশাপাশি সেক্স ফেরোমন বা যাদুর ফাঁদের ভাল দিকগুলো সম্পর্কে বোঝাচ্ছেন। যার কারণে সবজিতে অধিকাংশ কৃষকই এখন বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে ঝুকছেন। আর দিন দিন কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে সেক্স ফেরোমন।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম