কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : ছোট্ট একটি গাছে ১৬টি আম ধরেছে। এখনও আমের বিচি শক্ত হয়নি, তবুও একেকটির ওজন প্রায় ৩ কেজি হয়েছে। এ গাছের একটি আমের ওজন হয় চার কেজিরও বেশি। শখের ওই আম দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন সেখানে। কেউ-কেউ একটি আম কিনতে দাম হাঁকছেন ৫শ’ টাকা পর্যন্ত। খবর যুগান্তরের । মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে রয়েছে ওই ৪ কেজি ওজনের আম। তিনি ওই আম ফলিয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
মাগুরাসহ পার্শ্ববর্তী যশোর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ জেলার উৎসাহী মানুষ প্রতিদিন আতিয়ার রহমানের বাগানে ভিড় করছেন বিশালাকৃতির ওই আম দেখতে। আবার অনেকে আম গাছের চারার জন্য ঘুরছেন। আতিয়ার রহমান জানান, ৫ বছর আগে প্রবাসী আত্মীয় ইব্রাহীমের বাড়িতে ব্রুনাই থেকে আনা বিশেষ জাতের আমের কলম ডাল গ্রাফটিং করা হয়। ওই গাছে দেড় কেজি ওজনের দুটি আম ধরে। তিনি তখন ইব্রাহীমের বাড়ির ওই গাছ থেকে কলম ডাল সংগ্রহ করে তার বাগানের একটি ফজলি আম গাছে গ্রাফটিং করেন। দুই বছর আগে তার ওই গাছে দুই কেজি ওজনের দুটি আম ধরে। গত বছর তার ওই আম গাছে চার কেজি ওজনের ১১টি আম ধরেছিল।
এবার গাছে ১৬টি আম ধরেছে। তিনি আশা করছেন মাস খানেকের মধ্যে আমের ওজন ৪ কেজিরও বেশি হবে। অতিয়ার রহমান আরো জানান, এ বছর তিনি ওই গাছ থেকে অল্প সংখ্যক কলম তৈরি করেছিলেন সেগুলো পাঁচশত টাকা করে বিক্রি হয়েছে। আরো নতুন করে প্রায় তিনশত চারার অর্ডার আছে। চারা কিনতে আশা দীপঙ্কর মণ্ডল জানান, গত বছর তিনি দুটি চারা কিনেছিলেন এবার মুকুল এসেছিল। পরে গাছটি ভেঙে যায়।
এবার তিনি আরো চারা কিনতে চান। ঝিনাইদহ থেকে আসা ফজরআলী জানান, তিনি আত্মীয় বাড়িতে এসে এ আম খেয়েছিলেন সুস্বাদু। গতবার চারা নিতে চেয়েছিলেন পাননি, এবারও চারা নিতে এসেছেন। জেলা সম্প্রাসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। চূড়ান্ত ফলনের পর ওজন পরিমাপ, মান ও স্বাদ পরীক্ষা করা হবে। তাছাড়া এটা একটা নতুন জাতের আম তৈরির জন্য গবেষণার বিষয় হতে পারে। সৌখিন আম চাষীদের কাছে এটা আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
কৃপ্র/কে আহমেদ/এম ইসলাম