কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : দেশে ৩০৫ ধরণের প্রজাপতির ৬২ ভাগ, অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে আছে। নির্দিষ্ট গাছ ছাড়া ডিম দেয় না প্রজাপতি। তাই একেক জাতের প্রজাপতির বেঁচে থাকার জন্য দরকার একেক জাতের গাছ। আবার পরাগায়নের মাধ্যমে গাছের বংশ বৃদ্ধিতেও মূল ভূমিকা রাখে এই পতঙ্গ। তাই প্রজাপতিকে বলা হয় পরিবেশের সূচক। যেখানে যত বেশি জাতের প্রজাপতি আছে সেখানকার পরিবেশ তত ভাল। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি জাতের প্রজাপতি আজ বিলুপ্তির মুখে।
পাখায় পাখায় রঙ ছড়ায় ছবি আঁকা জামা গায়ে উড়ে উড়ে যায়। রংধনুর সাত রঙে সাজানো এই প্রজাপতি শুধু সৌন্দর্যের আধারই নয় পরাগায়নের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দেশে ৩০৫ ধরণের প্রজাপতির ৬২ ভাগ, অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে আছে। সুন্দরবন এলাকার ১টি প্রজাতি বিলুপ্তপ্রায়। বন উজার, পানি দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়নসহ নানাবিধ কারণে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। যা এই সুন্দর প্রজাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। যত বেশি গাছ তত বেশি প্রজাপতি।
কারণ এক এক জাতের প্রজাপতি, ডিম দেয়ার জন্য বেছ নেয় ভিন্ন ভিন্ন গাছ। তাই প্রজাপতিকে বলা হয় পরিবেশের সূচক। যেখানে যত বেশি প্রজাপতি সেখানকার পরিবেশ ততই ভাল। সূর্যের আলো না পেলে উড়তে পারেনা প্রজাপতি। তারা ওড়ার আগে ডানা মেলে যে সৌরশক্তি নেয় তা আধুনিক সোলার প্যানেলের চেয়ে আশি গুণ বেশি। আবার মানুষ যেখানে মাত্র তিনটি রং দেখতে পায়, প্রজাপতি দেখে সাত রঙ। প্রকৃতিতে মিলবে না প্রজাপতির রঙীন পাখা।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম