কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় হাট-বাজারগুলোতে বর্তমানে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে পটল। অত্যধিক দাম কমে যাওয়ায় চরম লোকসানের মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। জেলা শহরের পাইকারী বাজার নতুনহাট ঘুরে দেখা যায়, মুকুল হোসেন নামে ভাটকোঠার এক কৃষক ২ বিঘা চাষ করা পটলের জমি থেকে পটল এনেছেন ৫ মণ। পাইকাররা দাম হাকছেন ১৪০ টাকা মণ। অবশেষে হারুনুর রশিদ নামে এক পাইকারের নিকট ১৫০ টাকা মণ দরে ওই পটল বিক্রি করেন। পটল কত টাকা বিক্রি করলেন জিজ্ঞাসা করতেই মাথায় হাত রেখে উত্তর দিলেন যেখানে একমণ পটল চাষে খরচ পড়ছে আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকা, সেখানে বিক্রি করলাম ১৫০ টাকা মণ দরে। এভাবে কৃষক বাঁচবে! আক্ষেপের সুরে বললেন তিনি।
পটলের বাজারে কথা হয় ভাদশার কৃষক সামছুদ্দিন, পাথুরিয়ার শফিকুল ইসলাম, রাঘবপুরের বেলাল হোসেন, রসুলপুরের অনিল চন্দ্র ও বেলালের সঙ্গে। প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩ মণ করে পটল এনেছেন বিক্রির জন্য। পটলের দাম কমে যাওয়ায় চরম লোকসানের মধ্যে পড়েছেন বলে জানালেন কৃষকরা। জয়পুরহাটের নতুনহাটে বুধবার ও শনিবার পাইকারী সবজির হাট বসে। বর্তমানে এখানে প্রকার ভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা মণ পর্যন্ত পটল বিক্রি হচ্ছে। প্রতিহাটে ১শ’ থেকে ২শ’ মণ করে পটল কিনে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শ্যামবাজার, কাওরান বাজার সরবরাহ করে থাকেন বলে জানালেন পাইকার হারুনুর রশিদ ও শহিদুল ইসলাম। এ রকম ১২/১৪ জন পাইকার রয়েছেন এ বাজারে।
পাইকাররা জানালেন ৩-৪ টাকা কেজি দরে পটল কিনলেও ঢাকায় পাঠাতে খরচ পড়ছে কেজি প্রতি ৪ টাকা। জেলা শহরের মাছ বাজারের বর্তমানে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২শ’ টাকা কেজি ও ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মাছ বিক্রেতা রওশন আলী। এতে করে দেখা যায়, এক কেজি ইলিশ মাছ কেনার জন্য ৮ থেকে ৯ মণ পটল বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। জেলায় এবার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে। যাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন পটল। আবহাওয়া ভাল থাকায় পটলের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। পটল ছাড়াও জেলার হাট-বাজার গুলোতে বর্তমানে বেগুন ১২ থেকে ১৬ টাকা, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়ষ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ২০ টাকা।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম