কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বন কমে আসছে, তাই বন ছেড়ে গ্রামেই বাসা বেঁধেছে এক বাঘিনী। সঙ্গে দুই শাবকও। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের খাটুয়ারের মোহনপুর গ্রামে। গত এক সপ্তাহ ধরে দুই বাচ্চা সমেত গ্রামের এক পাশে বাস করছে এক বাঘিনী। এখন পর্যন্ত কোনো মানুষকে আক্রমণ না করলেও, বাঘিনীর হানায় মৃত্যু হয়েছে দুটি রাস্তার কুকুরের। বন দপ্তরকে বারবার জানিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীর। অমরিয়ার পিলভিটেও এ ধরনের একটি ঘটে। সেখানকার গ্রামে প্রায় দু বছর ধরে বাস করছে এক বাঘিনী। কিন্তু কোনো দিন কাউকে আক্রমণ করেনি। মোহনপুর গ্রামেও বাঘিনীর আতঙ্কে গ্রামবাসীদের মনে থাকলেও, এই ঘটনাকে ঘুরিয়ে আশীর্বাদ বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ, মোহনপুরে বুনো ভালুকের উত্পাত খুব বেশি। মাঠের শস্য নষ্ট করা, গবাদি পশুর ওপর হামলা – বুনো ভালুকরা এ সব করেই থাকে। এই গ্রামে বাঘিনী ডেরা বাঁধার পর থেকে বুনো ভালুকের আনাগোনা অনেক কমে গিয়েছে। শুধু মোহনপুর নয়, আশপাশের গ্রাম মুরাদপুর, তোনদারপুর এবং সুজানপুরেও বুনো ভালুক গত কয়েক দিন ধরে আসছে না।
মোহনপুরের এক গ্রামবাসী আদর্শ বর্মা জানাচ্ছেন, ‘আমরা অনেকেই বাচ্চাদুটির সঙ্গে বাঘিনীকে দেখেছি। তবে কাউকেই এখনও পর্যন্ত আক্রমণ করেনি। তবু ক্ষেতে কাজ করতে গেলে ভয়ে ভয়ে থাকি। রাতের বেলা কেউ বাড়ি ছেড়ে বেরোই না।’ বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে অন্য বাঘের আক্রমণ থেকে নিজের বাচ্চাদুটিকে নিরাপদে রাখতেই এই গ্রাম বেছে নিয়েছে বাঘিনী। বাচ্চা বড় করার সময় বাঘিনী মানুষের ওপর সাধারণত হামলা চালায় না বলে জানিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি চোরাশিকারীদের হাত থেকে বাঘটিকেও রক্ষা করা জরুরি।
সুত্রঃ dailynayadiganta.com