কৃষি প্রতিক্ষন টাঙ্গাইল : ভূঞাপুরে প্রায় দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে এসব এলাকার মৎস্য চাষীদের এখন পথে বসার উপক্রম। বঙ্গবন্ধু সেতু গাইড বাঁধ এলাকায় সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১০৮টি পুকুর লিজ নিয়ে ওই এলাকার মৎস্য চাষীরা মাছের খামার গড়ে তোলেন। এসব পুকুর লিজ নিতে ভ্যাটসহ তাদের খরচ হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এর আশেপাশে ব্যাক্তি মালিকানায় ৫৩টি পুকুরে মাছ চাষ চলছে।
সম্প্রতি বন্যায় তলিয়ে গেছে এসব পুকুর। এলাকার এক মৎস্য চাষী জানান, তার পুকুরে ২৪-২৫ লাখ রেণু পোনা ছিল। হঠাৎ বন্যার পানি এসে সব পোনা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এখন সংকটে আছেন তিনি। আকস্মিক বন্যায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পানি চলে আসায় বাঁধ দেয়া বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগই পাননি বলে জানান তার মতোই আরও বহু চাষী। মৎস্য চাষীরা জানান, সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। স্থায়ীভাবে নদীতে বাঁধ দেয়াসহ বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা দেয়ার জন্য মৎস্য চাষীরা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
বন্যায় মৎস্য খাতের ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। ভূঞাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ‘আশা করছি আমরা সরকারের কাছ থেকে কিছু প্রণোদনা ও সাহায্য-সহযোগিতা পাবো। তখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব,’ বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ১০৮টি সরকারি পুকুরের বাঁধ নির্মাণ করা হলে মৎস্য চাষে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃপ্র/ সাত্তার / কে আহমেদ/ এম ইসলাম