কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : শত বছর মাটিতে পুতে রাখলেও মরে না অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু। তবে একবার শকুনের পেটে গেলে এই জীবানু ধ্বংস হয়ে যায়। জলাতঙ্কের জীবানুও হজম করে ফেলে এই পাখি। কিন্তু, হজম করতে পারে না ডাইক্লোফেনাক। ব্যথানাশক এ ওষুধ দেয়া পশুর মাংস খেয়ে শকুনই আজ মহাবিপন্ন। এমন বাস্তবতায় প্রকৃতির এই পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে, বন বিভাগ ও আই ইউ সি এন।খবর চ্যানেল ২৪ অনলাইনের । নীল আকাশে নির্ভয়ে ভেসে বেড়ায় শকুনের দল। কারণ এটা রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের আকাশ। যেখানে শকুনের কোন ভয় নেই। মহাবিপন্ন এই পাখি বাঁচাতে যে দুটি নিরাপদ অঞ্চল আছে, তার একটি সুন্দরবনকে ঘিরে এবং অন্যটি এই সিলেট অঞ্চল।
শকুন সম্পর্কে মানুষের মনে অযথাই একটা ভুল ধারণা আছে। শকুনের দোয়ায় গরু মরে; সত্যিই মরেনা। উল্টো ব্যাথানাশক ইনজেকশন দেয়া মরা গরুর মাংস খেয়ে শকুনের বংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। গত দুই দশকে দক্ষিণ-এশিয়া থেকে ৯৯.৯ ভাগ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে টিকে আছে মাত্র আড়াইশো। মূলত গবাদি পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রফেন ব্যাবহার করায় এই বিপর্যয় ঘটেছে। মরা পশুর মাংস খেলে, ডাইক্লোফেনাক যায় শকুনের শরীরে; যা তারা সহ্য করতে পারেনা। শকুন মরা পশু খেয়ে প্রকৃতিকে পরিচ্ছন্ন রাখে। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মরা পশু শত বছর মাটিতে পুতে রাখলেও জীবানু ধ্বংস হয়না। কিন্তু শকুনে খেয়ে ফেললে সেই জীবানু মরে যায়। জলাতঙ্কের জীবানুও ধ্বংস করতে পারে এই পাখি।
বড় বড় গাছ সমৃদ্ধ রেমার এই শকুন নিবাসে মানুষের ঢুকতে মানা। তাদের খেতে দেয়া হয় ডাইক্লোফেনাকমুক্ত গরু। শকুন বাঁচাতে ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রফেন জাতীয় ওষুধ ব্যাবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এমনকি স্কুলের দেয়ালেও আঁকা হয়েছে শকুনের ছবি। শকুন রোগ-বালাই থেকে প্রাণীকূলকে বাঁচায়; একথা জেনে, এই পাখির প্রতি মানুষের মনে ভালবাসা জন্মেছে। আর একারেই এই পাখিটিকে বাঁচানো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে ।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম