কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট : পুকুরে পরীক্ষামূলক ইলিশ চাষে প্রাথমিক সাফল্য পাবার দাবী করেছে পটুয়াখালী মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র। এ ঘটনা এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পেতে আরো ৪ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য গবেষকরা। তারা বলছেন, আধুনিক গবেষণাগারসহ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আর উপকরণ সংকটে গবেষণা ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি সহায়তা আরো বাড়ানোর দাবী তাদের।
পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হুদা দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় পুকুরে ইলিশ চাষের কৌশল বের করেছেন। এজন্য গেল বছর গবেষণা কেন্দ্রের ৪৫ শতাংশ জমিতে তৈরি করেছেন ৭ ফুট গভীরতার বিশেষ পুকুর। আন্ধারমানিক নদী থেকে আনা হয়েছে নোনাপানির সংযোগ। ইলিশপোনা দ্রুত বড় হবার গতি ঠিক রাখতে পুকুরে কৃত্রিম ঢেউ তৈরির প্যাডেল হুইল– এরোটলসহ অক্সিজেন বাড়াতে বসানো হয়েছে বাতাস সরবরাহকারী যন্ত্র। পোনার প্রাকৃতিক খাবার সরবরাহে পুকুরেই উৎপাদন হচ্ছে উদ্ভিদ খাদ্যকণা। রামনাবাদ মোহনা থেকে বিশেষ কৌশলে সাড়ে ৬ হাজার ইলিশপোনা ধরে দু’দফায় ছাড়া হয় পুকুরে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গত ১ বছরে এই ইলিশ চাষে বেশ সাফল্য পাওয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের। পোনাগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কি ধরনের খাবার সহায়ক- তা নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে বলে জানালেন এর সহকারী গবেষক।
পুকুরে ইলিশ চাষের সম্ভবতার বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট, ময়মনসিহের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুরল্লাহ’র সাথে । তিনি কৃষি প্রতিক্ষনকে জানান, আমরা বেশ কয়েক বছর যাবৎ এ বিষয়টি নিয়ে গবেষনা করছি । কিছুটা সফলও হয়েছি । তবে এখনো পুরোপুরি সফলতা পায়নি ।
পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ উৎপাদনে সরকার গবেষণাগারসহ আধুনিক প্রযুক্তির আরও বিকাশ ঘটাতে পারলে দেশের মৎস্য খাতে নতুন বিপ্লব ঘটার আশায় উপকূলীয় জেলেরা।
কৃপ্র/এম ইসলাম