আহমেদ শাহেদঃ ইলিশ নয়, রপ্তানি হচ্ছে ইলিশের ডিম। ইলিশের রাজধানী হিসেবে খ্যাত চাঁদপুর । আর এ জেলার পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে । যার কারণে চাঁদপুরের সুস্বাদু ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদা দেশ বিদেশের সর্বত্র। গত কয়েক বছর যাবত চাঁদপুরের ইলিশের ডিম বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। আয় হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। চাঁদপুরের ইলিশের ডিম বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রচুর চাহিদা আছে। গত কয়েক বছর যাবত চাঁদপুরের ইলিশের ডিম বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। আয় হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। যার কারণে প্রজনন মৌসুমের আগে-পরে এমন কী প্রজনন মৌসুমেও প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে নদী থেকে মা ইলিশ ধরে পেট কেটে ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রতি কেজি ইলিশের ডিম ১৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি বক্সে আড়াই কেজি ডিম থাকে। প্রতি বক্স ইলিশের ডিমের দাম ৩ হাজার ৫শ’ টাকা। এসব ডিম প্লাস্টিকের বক্স ভর্তি করে বরফ দিয়ে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বড় বড় আড়ৎ এ। সেখান থেকে ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইলিশের ডিমের চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারছে না ব্যবসায়ীরা ।
মৎস্য ব্যবসারীরা জানিয়েছেন, ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ থাকলেও ইলিশের ডিম রপ্তানিতে তা নেই। যার কারণে ইলিশ রপ্তানি কারকরা ডিম রপ্তানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ থেকে কিছু বৈদেশিক মুনাফা অর্জন হচ্ছে।
ইলিশের ডিম এর রপ্তানি মূল্য নির্ধারিত না থাকায় সরকার সঠিক ভাবে রাজস্ব পাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে দেশ-বিদেশে রপ্তানীর ব্যাপারে সরকারি তদারকী প্রয়োজন বলে করছেন এ জেলার ব্যবসায়ীরা।
কৃপ্র/এম ইসলাম