কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমাদের বাংলাদেশের এখন অতি বিপন্ন একটি প্রাণীর নাম শকুন। বাংলাদেশে এখন সব মিলিয়ে তিনশটিরও কম শকুন রয়েছে। অথচ এক সময়ে প্রায় সর্বত্রই দেখা মিলত বৃহদাকার এই পাখিটির। এখন শুধুমাত্র মৌলভিবাজার এবং সুন্দরবন এলাকায় কিছুটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় শকুনের দেখা মেলে। এসব এলাকাকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকাও ঘোষণা করেছে সরকার। এমনি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর শকুন সংরক্ষণে সচেতনতার বিষয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন বিলুপ্তির পথে চলে গেল শকুন?
বাংলাদেশে বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, পক্ষী বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলছেন, তিন-সাড়ে তিন দশক আগে গরুর জন্য একটি ব্যথানাশক ঔষধ প্রচলিত হয়েছিল। এই ঔষধটা যে শকুনের জন্য ভয়ঙ্কর তা কেউ জানতো না। ‘এই ঔষধটা গরুকে দেয়ার পর যদি গরু মারা যায়, তাহলে সেই গরু খেলে শকুন মারা যায়’। এটা ২০০৩ সালে ধরা পড়েছে এবং তার পর থেকে শকুন অধ্যুষিত দেশগুলোতে এই ঔষধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং শকুন টিকিয়ে রাখতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
‘কিন্তু ততদিনে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রতি হাজারে একটিতে। শকুনের এই বিলুপ্তি কোনও প্রাকৃতিক কারণে হয়নি। এটাকে রাসায়নিক কারণ হতেই হবে’।