কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত মহাদেবপুর, পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় রোপা আমন চাষ শুরু হয়েছে। রোপা আমনের জমি তৈরি, চারা উত্তোলন ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের পাশাপাশি আমনের চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে নারী কৃষি শ্রমিকদের।
দেখা গেছে, মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আমনের চারা রোপণের কাজ। ইতিমধ্যেই ৩০ থেকে ৪০ ভাগ জমির রোপা আমন রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই অবশিষ্ট চারা রোপণের কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এবার মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় অন্য বছরের মতো পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।
বৃষ্টির পানিতে স্বাচ্ছন্দ্যে আমনের চারা রোপণের কাজ করছেন কৃষকরা। বিগত বছরগুলোতে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে রোপণের কাজ করতে হতো। সেক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ বাবদ কৃষককে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হতো। এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর, পোরশা, সাপাহার, পত্নীতলা, নিয়ামতপুর উপজেলায় এবার ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মহাদেবপুরে ২৭ হাজার ৭২০ হেক্টর, পোরশায় ১৯ হাজার ২৪৩ হেক্টর, সাপাহারে ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৭ হাজার ১৭৫ হেক্টর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ২২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, জেলার বরেন্দ্র উপজেলাগুলোতে অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ধানের চারা রোপণ করছেন। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে বিআর ১১, ব্রি-ধান ৩৩, ব্রি-ধান ৫১, ৫২, স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা ও বিনা-৭। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুত্রঃ .bd-pratidin.com/