কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট : হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় অনেক সুস্বাদু মাছ । মাছের ৫৪ প্রজাতি ঝুঁকিপূর্ণ, ২৮ প্রজাতি বিপন্ন ও ১২ প্রজাতিকে মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। আর অভিজ্ঞরা বলছেন, নদী সংলগ্ন খাল ও ছড়ার সংযোগস্থলে স্লুইস গেট নির্মাণ, নদীর বুকে জেগে ওঠা চর এবং অবৈধভাবে নদী ও খাল দখলের কারণে দিন দিন কমছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। একই সাথে শিল্প বর্জ্যের মাধ্যমে ভয়াবহ নদী দূষণ ও কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবৃদ্ধি।
একসময় নদী, খাল-পুকুরে জাল ফেললেই ছোট বড় অসংখ্য মাছে ভরে যেতো জেলেদের নৌকা। এখন আর সেই দিন খুঁজে পাওয়া যায়না। সুস্বাদু অনেক মাছই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।অবৈধ দখল ও দূষণসহ নানা কারণে এক সময় মাছের মোট চাহিদার প্রায় পুরোটাই যোগান দেয়া নদীনালা ও খালবিলে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এরফলে টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বলেন, আগে সিংহভাবে মাছ আসতো নদী- নালা-খালবিল থেকে।বর্তমানে যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশির ভাগই আসছে চাষের মাধ্যমে। অথচ বিভিন্ন ধরনের দখল ও দূষণের কারণে মৎস্য উৎপাদনের উৎস কমে যাচ্ছে।
এদিকে, মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, মাছের প্রাকৃতিক বিচরণ স্থান নদ-নদী খাল বিলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের একার নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য খালবিল ও নদীগুলো দূষণমুক্ত করা না গেলে অচিরেই হারিয়ে যাবে ফলি, মহাশোল, পান রুই, বাঘা আইড় রানী, কালা বাউস ও রায়েক মাছের মত অনেক সুস্বাদু মাছ।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম