কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু পুকুর, ডোবা,নালা ও গুলোতে মাছ হওয়ায় পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেনা চাষিরা। আগের দিনের মতো আর পুকুর, ডোবা, নালা, জলাশয় পড়ে না থাকায় ওই সব জায়গায় মাছ চাষ হওয়ায় চাষিরা পাট জাগ দেয়া নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। পুকুর, ডোবা, নালা লিজ বা ভাড়া নিয়ে পাট জাগ করতে হচ্ছে। এতে চাষির বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, এই উপজেলায় পানি সংকট নেই। পদ্মায় পানি বাড়লেও আমাদের খাল, বিল ও বদ্ধজলাশয়ে পানি বাড়ে না। কারন পদ্মার সাথে এই উপজেলার খাল, বিল ও বদ্ধজলাশয়ের কোন যোগাযোগ নেই। তাছাড়া এই উপজেলায় কোন নদী নেই।
উপজেলায় এবার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টি হলেও না পরিত্যাক্ত পুকুর, ডোবা নালা খাল বিল ও বদ্ধজলাশায়ে মাছ চাষ করার কারনে পাট নিয়ে কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছেন। সঠিক সময়ে ধান লাগাতে না পারলে আমন আবাদ ব্যাহত হতে পারে এই আশংকায় অনেক কৃষক পাঠ কেটে জমি খালি করছেন। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক চাষি পাট জাগ দেওয়ার জন্য ভাড়া নিয়েছে অন্যের পুকুর। আর প্রতি বিঘা পাট জাগের ভাড়া বাবদ দিতে হচ্ছে চাষিদের ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।
জানাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাস সরকারি বিল ও জলমহাল রয়েছে প্রায় ৪ শ’ ৭০টি। সেগুলো ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করায় সেখানে ইজারাদাররা পাট জাগ দিতে দিচ্ছেনা চাষিদের। তাই অনেকে পাট কেটে ভ্যান গাড়ি, ঠেলাগাড়ি ও ভটভটি নছিমন,করিমন যোগে পাট নিয়ে ছুটে চলেছেন পানির খোঁজে।এতে চাষির পাট চাষে নতুন করে যোগ হয়েছে বাড়তি খরচ। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এবছর উপজেলার ১হাজার ৪শ’ ৯০হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।