আব্দুস সাত্তার,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বন্যার পানি কমার সাথে সাথে যমুনা, ধলেশ্বরী,ঝিনাই নদী সহ শাখা নদীগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদী ভাঙনের ফলে নথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহীদ মিনার ও বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একটি ভবনের কিছু অংশ নদীতে গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়কে ঝিনাই নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নথখোলা ব্রিজ।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুকনো মৌসুমেও নদী খননের নামে বাসাইল উপজেলার নথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশপাশে ও ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।যার ফলে বর্ষার শুরুতেই ভাঙন শুরু হয়।এবারের বন্যায় বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের নিচের মাটি সরে গিয়ে শহীদ মিনারটি সম্পূর্ণভাবে এবং বিদ্যালয়ের কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনসহ সকলেরই নজর পড়ে। এই মুহূর্তে ভাঙন রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ না করলে বিদ্যালয়টিও শিগগির নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশক্সক্ষা করছেন এলাকাবাসী। এতে নদীগর্ভে ধসে যেতে পারে টাঙ্গাইল-সখীপুর ভায়া বাসাইল সড়কে ঝিনাই নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মিত নথখোলা ব্রিজটিও।এ ব্রিজটি ভেঙে পড়লে টাঙ্গাইলের পূর্বাঞ্চলের সাথে বাসাইল ও সখীপুর উপজেলাসহ মির্জাপুর,ময়মনসিংহের ভালুকা,ফুলবাড়ি উপজেলার কিছু অংশের লাখ লাখ মানুষের টাঙ্গাইল জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
স্থানীয় এমপি অনুপম শাহজাহান জয়,বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলিয়া শারমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা সুলতানা রুবি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলিয়া শারমিন জানান, বিদ্যালয় চত্বরে স্থাপিত শহীদ মিনারটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শিগগিরই নতুন করে শহীদ মিনার স্থাপনের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ জাহান সিরাজ জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে স্কুল ও ব্রিজ রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে বালুভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। স্থায়ীভাবে বিদ্যালয় ও ব্রিজটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম