কৃষি প্রতিক্ষন চট্টগ্রাম : নানা সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের সব ট্যানারী। তাই অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানকার কাঁচা চামড়া ব্যবসা। এমন পরিস্থিতিতে আসছে কোরবানিতে পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতিবছর সাড়ে পাঁচ লাখের মতো কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ হয় চট্টগ্রামে। আর এই কাজে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষাভাবে জড়িত দেড় শতাধিক আড়তদারসহ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার ব্যবসায়ী।
চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতিকে ঘিরে প্রতিবছর কোরবানীর আগে এই সময়টাতে কর্মচাঞ্চল্য থাকে নগরীর আতুরার ডিপোর আড়ত এলাকায়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। আড়তদাররা বলছেন, গেলো কয়েকবছর ধরে সংগ্রহ করা চামড়ার পঞ্চাশ থেকে ষাটভাগ সরবরাহ করা হতো স্থানীয় দুটি ট্যানারীতে। কিন্তু পরিবেশ দূষনের দায়ে দুটি ট্যানারিই বন্ধ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার ট্যানারিগুলোর কাছে চামড়া বিক্রি করা হলেও তার অর্থ পাওয়া যায়না সময়মতো। ফলে পুঁজি খাটিয়ে তা তুলতেই হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। তাই আসছে কোরবানীতে চট্টগ্রামে চামড়া সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ও দাম নিয়ে শংকা বাড়ছে তাদের। এছাড়া এবার লবণের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও আছে উদ্বেগ। চট্টগ্রামে এক সময় ২২টি ট্যানারি থাকলেও নানা সংকটে সবশেষ তা নেমে আসে দুটিতে। কিন্তু সেই দুটিও বন্ধ থাকায় এখন কোন ট্যানারিই চালু নেই।
কৃপ্র/ বিকাশ/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম