কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট : রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ওয়াইজঘাটের আড়ৎ গুলোতে গভীর রাতে ট্রাক থেকে নামাতে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক আনারস। গভীর রাতে মৌ মৌ ঘ্রাণে সয়লাব পুরো এলাকা। ব্যাপারী মো. আবদুল বাছেদ বলেন, দুপুরে বাগান থেকে কেটে ট্রাক বোঝাই করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মধ্যরাতে আড়তে চলে আসে। রাতে সাইজ মিলিয়ে রাখি।
চলছে আনারসের ভরা মৌসুম। আর সপ্তাহ খানেক থাকবে। দ্বিতীয় দফার আনারস বের হয়ে গেছে যা থাকবে চৈত্র মাস পর্যন্ত। তবে প্রথম ধাপের আনারস বেশি মিষ্টি- যোগ করেন আবদুল বাছেদ। তিনি বলেন, ছোট এক ট্রাকে ৪ আর বড় ট্রাকে ৮ হাজার পিস আনারস ধরে। বাগান বা পিস হিসেবে কিনলে ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত পড়ে। এতে যাতায়াত খরচ পড়ে আরও ৫ টাকা।
আড়তে এনে সাইজ অনুযায়ী আলাদা করা হয়। সাইজ অনুযায়ী দাম। তবে ট্রাকে শতকরা ৫ থেকে ১০টি আনারস খারাপ পড়ে। সেগুলো আলাদা দামে বিক্রি করা হয়। অনেক সময় লোকসান হয় বলেও জানান এই আনারস ব্যবসায়ী। একেবারে তাজা এসব আনারস ভোর থেকে বিক্রি শুরু হয়। ১০০ থেকে ৫০০ পিস করে পাইকারি বিক্রি হয়ে যায়। তাজা ও মিষ্টি গন্ধে ভরপুর হওয়ায় দাম একটু বেশি বলেও জানান তিনি।
ব্যাপারী আবদুল বাছেদ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে আনারসের ব্যবসা করি। কিন্তু গত কয়েক বছরে সড়কে পুলিশকে চাঁদা দিতে দিতে অতিষ্ঠ। যদি চাঁদা না দেওয়া হয় ২০ থেকে ২৫ জায়গায় দাঁড় করাবে, কাগজপত্র দেখবে। আক্ষেপ জানিয়ে বাছেদ ব্যাপারী বলেন, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বাগান ক্রয় করি। আনারস ছোট থাকতে বাগান কিনলে লোকসান কম হয়, বড় কিনলে বেশি লোকসান হয়।
জানা যায় , স্বাদ আর গন্ধের জন্য মধুপুরের আনারস ঢাকার মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয়। একটু বৃষ্টি হলেই ক্রেতার ভিড় বেড়ে যায়। ওয়াইজঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি ট্রাক থেকে টুকরি করে আনারস নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। আনারসের পাতার কাঁটা থেকে বাঁচতে শ্রমিকরা হাতে মোটা হ্যান্ড গ্লভস পরেছেন। টুকরি ভর্তি আনারস আড়তে নেওয়ার পর সাইজ অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে। সাইজ অনুযায়ী দাম হাঁকাবেন বিক্রেতারা। মৌসুমি এ ফলের মৌ মৌ গন্ধে অন্য রকম এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ওয়াইজঘাট এলাকায়।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম