কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীতে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে পদ্মার পানি দুই সেন্টিমিটার কমেছে। এর আগের ১২ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পায়নি। রবিবার সকাল ৯টায় পদ্মার পানি ১৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার বিকেলে পদ্মার পানি ১৮ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানান, শিগগিরই পদ্মার পানি দ্রুত কমতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।
পাউবো সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ৬টায় পদ্মা ১৮ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১২টায় আরো ১ সেন্টিমিটার কমে পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার। আগের দিন রবিবার সকালে পদ্মার পানি ১৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে।
সূত্র মতে, ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি প্রতিদিন গড়ে ১১/১২ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল গতকাল সোমবার পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদ্মার পানি আর বৃদ্ধি পায়নি। এরআগে ২০১৩ সালে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। এদিকে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সরিয়ে নিতে হয়েছে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে জেলার চার উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী ও বাঘার চরাঞ্চল। এসব এলাকায় এখনও বহু মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে হুমকির মুখে পড়ে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ। পানির চাপে গত রবিবার সকালের দিকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় শহর রক্ষা বাধের প্রটেকশন ‘টি-গ্রোয়েনে’ ফাটল দেখা দেয় বলে নগরীতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ওই গুজবকে ভিত্তি করে খবর পরিবেশন করা হয়।
পাউবোর রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, ‘রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ ও বাঁধের কোনো অংশেই ফাটল দেখা দেয়নি। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ও নেই। এনিয়ে তিনি কাউকে গুজবে কান না দেয়ারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গত রবিবার পদ্মার পানি অস্থিতিশীল ছিল অর্থাৎ এক সেন্টিমিটারও বাড়েনি। সোমবার দুই সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ধারণা করছি, দু’একদিনের মধ্যে পদ্মার পানি আরো বেশি পরিমাণে কমতে শুরু করবে।’
কৃপ্র/ এম ইসলাম