কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় সমুদ্র উপকূলের হাজার হাজার জেলে, আড়ত, ট্রলারমালিকসহ এ পেশার সঙ্গে নির্ভরশীল অন্তত ৫০ হাজার পরিবারে মুখে হাসি ফুটেছে। বইছে খুশির জোয়ার। সাগর-নদীতে কিংবা মোহনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এসব পরিবারে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
প্রায় এক সপ্তাহ থেকে ইলিশ শিকারি জেলেসহ এ পেশা সংশ্লিষ্টদের মনে বিরাজ করছে স্বস্তি। লাখ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করে সারা মৌসুমের লোকসান পুষিয়ে নিচ্ছেন ট্রলার কিংবা আড়ত মালিক। পাশাপাশি জেলেরাও দাদনের বোঝা অনেকটা হালকা করছেন। যেন এ পেশার মানুষ এ বছর আর্থিক নিরাপত্তার খোঁজ পেয়েছেন। পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত আড়ত শ্রমিকরাও কাটাচ্ছেন কর্মব্যস্ত সময়। ইলিশের বৃহৎ মোকাম মহীপুর-আলীপুর ও কুয়াকাটায় বিরাজ করছে এ পেশার মানুষের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ।
জেলেসহ এ পেশায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মৎস্যবিভাগ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল জাটকা নিধনরোধে অভিযান এবং মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞাকালীন কার্যকর পদক্ষেপের সুফল হিসেবে সবাই দেখছেন এমন ইলিশের প্রচুর আমদানিকে। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি গাজী ফজলুর রহমান জানান, গত চার/পাঁচ দিন ধরে প্রচুর ইলিশের আমদানি হচ্ছে। গড়ে শুধুমাত্র মহিপুর থেকে অন্তত তিন হাজার মণ মাছ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান হচ্ছে বলে তার দাবি। এ বছর ইলিশের দামও বেশ চড়া।
৪০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সাইজের ইলিশ ১১/১২ থেকে ১৪/১৫ হাজার, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৯ হাজার টাকা মণ । এর বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা মণ দরে। একই দৃশ্য আলীপুর মৎস্য বন্দরসহ কুয়াকাটার। তবে কুয়াকাটার খুটা জেলেদের ইলিশের সাইজ একটু বড়। আড়ত মালিক, ট্রলার মালিকসহ জেলেদের হিসাব অনুসারে প্রতিদিন কলাপাড়ার বিভিন্ন স্পট থেকে অন্তত চার হাজার মণ ইলিশ দেশের বিভিন্ন বাজারে চালান হচ্ছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, মা ইলিশ রক্ষায় এবং জাটকা নিধনরোধে মৎস্য অফিসের পরিকল্পিত উদ্যোগে পাওয়া সুফলে জেলেরা প্রচুর ইলিশ পাচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম