কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করেই মহাসড়কে পশুর গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ তো নয়ই বরং পুলিশী সহায়তায় চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়েছে। এদিকে যানজট নিরসনের কথা বলে পুলিশ গাড়ির ডকুমেন্ট চেকিংয়ের নামে অর্থ আদায়সহ হয়রানি করছে। খবর জনকণ্ঠ অন লাইনের।
ঈদ উপলক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নির্বিঘেœ চট্টগ্রামে ঈদ পালনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা দিলেও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ জেলা পুলিশের ঘোষণার মাত্র একদিনের মাথায় রবিবার সকালে অলংকার মোড়ে তথা অলংকার পুলিশ বক্সের সামনে গাড়ি থামিয়ে বখরা আদায় করতে দেখা গেছে। সাগরিকা গরুর বাজারকে কেন্দ্র করেই মূলত সেখানে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হলেও চলছে গণপরিবহন থেকে অর্থ আদায়ের ঘটনা।
অথচ কোরবানির পশুর হাট, ঈদ জামাত ছাড়াও ঈদের পরবর্তী তিনদিন পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়, চোরাচালান রোধ, পর্যটক পরিবহন এবং যানবাহন চলাচলসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত নগরবাসীকে সুবিধা দিতে পারছে না। এদিকে রবিবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে নগরীর আকবরশাহ মাজার এলাকায় একটি গরুবাহী ট্রাক চলতে ব্যারিকেড দেয় চাঁদাবাজরা।
একটি অটোরিক্সাতে ৫ সদস্যের একটি চাঁদাবাজদের দল সড়কে গরুভর্তি ট্রাককে জোর পূর্বক অলংকার মোড়ে থাকা আকবর মামার বাজারে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে চালক রাজি না হলে মারধরের ভয় দেখানো হয়। এমনকি এক চাঁদাবাজ ট্রাকের চালকের কেবিনে প্রবেশ করে গাড়ি নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। অবশেষে আধঘণ্টা বাকবিতন্ডার পর হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, চাঁদাবাজির সঙ্গে যদি কোন পুলিশ যোগসাজশ বা সরাসরি জড়িত থাকার ঘটণা প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হবে। ঈদের আগে যানবাহন পরিচালনায় সড়কে কোন ধরনের কাগজপত্র তল্লাশি করা যাবে না। তবে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ঐ গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা যাবে। পরিবহন মালিকদের ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় ও হয়রানি বন্ধের নিদেশনা পুলিশের।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ একদিকে পশু ব্যবসায়ী ও জনগণকে নিরাপত্তা দিবে অন্যদিকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ থাকবে যানজট নিরসনে। সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা টিম ও টহল টিম নগর ও জেলার সর্বস্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম