কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাছ, গাছের পাতা সবুজ, ফুল ও ফল রঙিন। মেহেরপুরে স্থানীয়ভাবে এটি রঙিন রূপবান নামের শিম। অনেকেই অল্প পুঁজিতে অল্প জায়গায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই রঙিন শিমচাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আর এই শিমের নাম রঙিন রূপবান শিম।
জেলার মাঠে মাঠে এই রূপবান রঙিন শিমের আবাদ বেড়েই চলেছে। চোখ জুড়ানো এই রঙিন শিমসহ বিভিন্ন জাতের শিমের সমারোহ চোখে পড়ে মেহেরপুরের মাঠে মাঠে ও বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে অন্যান্য জেলায়। সরেজমিনে মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের মাঠে দেখা গেছে রঙিন শিম গাছ। ছোট-বড় মেঠোপথ ও বাড়ির আঙিনায় লাগানো হয়েছে রঙিন শিম। শিমের ফলনে হাসছেন কৃষকেরা।
শিমবাগান থেকে শিম সংগ্রহর সময় কথা হয় আমঝুপি গ্রামের মোনাজাত আলীর সাথে। পঞ্চাষার্ধ বয়সের মোনাজাত জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এই শিমের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। একবিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে শিম চাষ শুরু। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বাজারে শিমের ভালো দাম থাকায় এ পর্যন্ত তিনি ১২ হাজার টাকার মতো লাভবান হয়েছেন। বাগানে আরো ২৫-৩০ হাজার টাকার মতো শিম রয়েছে। সে হিসেবে তিনি আশা করেন ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকার মতো লাভ হবে তার।
কৃষক আতিকুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ না থাকায় স্থানীয় চাষিরা সনাতন পদ্ধতিতে শিম চাষ করে থাকে। কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যে কেউ সাবলম্বী হতে পারে।
মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জের রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রঙিন রূপবান জাতের শিমচাষ করেছেন। রঙিন হবার কারণে বাজারে এই শিমের ব্যাপক চাহিদা। এবং সবুজ শিমের চেয়ে প্রতি কেজিতে এক দুই টাকা বেশী দামে এই শিম বিক্রি করা যায়। এ পর্যন্ত রফিকুল উৎপাদন খরচ তুলে ১ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এখনও ৪০ হাজার টাকার বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাপোষণ করছেন।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম মোস্তাফজুর রহমান জানান, গত দশ বছর ধরে মেহেরপুরে রঙিন রূপবান জাতের শিমচাষ হচ্ছে। এই রঙিন শিম সাধারণ শিমের চাষের পদ্ধতিতে চাষ হয়। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় প্রায় দেড়হাজার বিঘা জমিতে রঙিন রূপবান জাতের শিমচাষ হচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস, রিপোর্টঃ দিলরুবা খাতুন
কৃপ্র/ এম ইসলাম