কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটায় যমুনা নদীর ভাঙনে তিন সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি, স্কুল মসজিদ, বাজার, কাঁচা, পাকা রাস্তা, শতাধিক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবার বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে নদী ভাঙন শুরু হয়।খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
বর্ষার শুরু থেকে অব্যাহত ভাঙনে ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা, বরম তাইড়; সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী, হাটবাড়ী, মুন্সিরহাট; ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল; হলদিয়া ইউনিয়নের কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দি, গোবিন্দপুর, বেড়া ও নলছিয়া গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়ে। অব্যাহত ভাঙনে তিন সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা, গাছপালা, আবাদি জমি, স্কুল, ২ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, হাটবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটবাড়ী যমুনা বাজার, হাটবাড়ী জামে মসজিদ বিলীন হয়ে যায়।
নদী ভাঙনে গৃহহারা পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অন্যের জায়গায় মাথা গোজার ঠাঁই নিয়ে অস্থায়ীভাবে কোনো রকমভাবে জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার তিন তলা ভবন, বেড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হলদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিয়া জামে মসজিদসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনবসতি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী চিনিরপটল এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হলদিয়া ও চিনিরপটল এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও তা যথেষ্ট পরিমাণ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের ২ হাজার ঘর-বাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা, জমা-জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহারা পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন নতুন নতুন এলাকা ভাঙন কবলে পড়ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম