কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ কোরবানির ঈদের আর ৪ দিন পরে । কোরবানির হাটে আছে যথেষ্ট গরু আছে বলছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ী ও গবেষকদের ধারণা বাংলাদেশে প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় ৮০ লাখের মতো গরুর দরকার হয় যার চার ভাগের একভাগ ভারত থেকে আসতো। কিন্তু গত দু’বছর ধরে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, বর্তমানে দেশের ভেতরেই প্রচুর গরুর খামার গড়ে উঠেছে যা থেকে চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
পশুর প্রধান হাট ঢাকার গাবতলিতে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আনা শুরু হয়েছে। হাট জমে উঠতে কয়েকদিন সময় নেবে। তবে এখনই অনেক ক্রেতার ভিড়। কয়েকজন ক্রেতা জানান দাম বেশি হলেও দেশী গরুই তাদের প্রথম পছন্দ। কারণ দেশি গরুর মাংসের স্বাদ ভাল।
খামারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত থেকে গরু আসা যেন বন্ধ থাকে। তাহলে তারা এবারও ভাল দাম পাবেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে খামারের সংখ্যা ও গরুর উৎপাদন অনেক বেড়েছে এবং দেশের ভেতরের সরবরাহ থেকেই চাহিদা মেটানো সম্ভব।
কোরবানির পশুর বাজার নিয়ে গবেষণা করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, দেশের ভেতরে সরবরাহ বাড়ায় দামের উপর চাপ ক্রমান্বয়ে কমে আসছে।
তিনি বলেন, “প্রতি বছর ভারত থেকে বিশ লাখের মতো গরু আসতো। আর আমাদের দেশে কোরবানির ঈদে আশি লাখের মতো গরু প্রয়োজন হয়। গত বছর থেকে ভারতের গরু আসা বন্ধ হওয়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। ফলে মানুষ উৎসাহিত হয়ে খামার করছে।দেশের ভিতরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দামের উপর চাপ কমে আসছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম