কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গরুটির গায়ের রং সাদা। লম্বায় যেমন, উচ্চতাও তেমন। শরীরও ফোলা নয়। তাই গরুটি দেখতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। দর্শনার্থীরাও গরুটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। বিক্রেতা গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা। গরুটি তোলা হয়েছে রাজধানীর আফতাবনগর হাটে। রাজধানীর অন্যতম বড় কোরবানির গরুর হাট বাড্ডার আফতাবনগরে। খবর প্রথম আলো অনলাইনের।
১৬ লাখ টাকার দাম হাঁকা গরুটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান এ বি এগ্রোফার্ম। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মো. জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকায় তাঁদের গরুর খামার। গরুটি সেখানে লালনপালন করা হয়েছে। আমরা গরুটির দাম চেয়েছি ১৬ লাখ টাকা। আশা করি, এ দামেই গরুটি বিক্রি হবে। এই গরুটি ছাড়াও এই ফার্মের আরও ২২টি গরু তোলা হয়েছে।’ জহিরুল বলছেন, তাঁদের ফার্মের কোনো গরুর দাম পাঁচ লাখ টাকার নিচে নয়।
আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ১৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া গরুটি ছাড়াও হাটে অনেক বড় বড় গরু আনা হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম প্রতিষ্ঠান এসব গরু হাটে তুলেছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যাপারীরা বেশ বড়সড় গরু বাজারে এনেছেন। রাজধানীর অন্যান্য গরুর হাট থেকে আফতাবনগর হাট একেবারই আলাদা। রাস্তার দুই ধারে আছে কাশবন। মাঝখানে গাছের সারি। রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধভাবে গরু রাখা হয়েছে।
আফতাবনগর গরু হাটের সার্বিক সহযোগিতায় থাকা এস এম তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট এটি। এই হাটে প্রতিবছর ৫০ হাজার গরু আসে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার গরু এসেছে। গরু কম হওয়ার কারণে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। এমনকি বাজারে ভারতীয় গরু আসেনি তেমন। শেষ পর্যন্ত গরু যদি হাটে না আসে, তাহলে এবার গরুর বাজার চড়া হবে।
ঠিক একই কথা বলছেন কুষ্টিয়া থেকে ৩৫টি গরু নিয়ে হাটে আসা ব্যাপারী আকবর হোসেন। তাঁর দাবি, তিনি গতবারও এই হাটে গরু তুলেছিলেন। ঈদের তিন দিন বাকি রয়েছে। এমন সময়ে পুরো বাজার কানায় কানায় ভরে যায়। গত বারের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ গরু বাজারে এসেছে। এমন অবস্থা থাকলে গরুর দাম বেশি পড়বে।
সকালের দিকে আফতাবনগর গরুর হাটে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। তবে দুপুরের দিকে ক্রেতার আনাগোনা ছিল বেশ। আফতাবনগর গরুর হাটের তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল প্রথম আলোকে বলেন, এখনো কেনাবেচা তেমন শুরু হয়নি। আজ বিকেল থেকে বেচাকেনা শুরু হবে। অন্যবারের তুলনায় হাটে গরু কম এসেছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম